সম্পূর্ণ জীবনী
জনাব আতাউর রহমান বাচ্চু নড়াইল জেলার সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের কোমখালী গ্রামে ১৯৮০ সালের ১৫ অক্টোবর এক ঐতিহ্যবাহী ও সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা মরহুম আবুল কাশেম মোল্লা ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও নড়াইল জেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার অতি পরিচিত একজন সামাজিক ব্যক্তিত্ব এবং হবখালী ইউনিয়ন পরিষদের এক সময়ের নির্বাচিত জন প্রতিনিধি। মাতা মোসাঃ কুলসুম বেগম গৃহিণী। আতাউর রহমান বাচ্চু ৭ ভাই ও ১ বোন-এর সবার মধ্যে ছোট। বড় ভাই শাহিদুর রহমান অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, মেঝ ভাই মতিয়ার রহমান নড়াইল জেলা জর্জ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী, সেঝ ভাই মশিয়ার রহমান ব্যবসায়ী, ৪র্থ ভাই মুফতি শফিউর রহমান একটি মাদ্রাসা পরিচালনা ও মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্বে আছেন, ৫ম ভাই মাহফুজুর রহমান একটি কামিল মাদ্রাসার গণিত বিভাগের সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত, ৬ষ্ঠ একমাত্র বোন মর্জিনা রহমান গৃহিণী, দুলাভাই এম এম মিজানুর রহমান (অবঃ) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, ৭ম ভাই জনাব শামসুর রহমান একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত।
জনাব আতাউর রহমান বাচ্চু লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী সৈয়দ পরিবারের মরহুম সৈয়দ আব্দুর রউফ ওরফে কালা মিয়া হাজীর নাতনী ও মরহুম আলী আকবর সাহেবের কন্যা শাহী সিয়ামের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্ত্রী শাহী সিয়াম রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে গৃহিণী হিসেবে স্বামীর পাশে থেকে তার জনসেবার কাজে উৎসাহ দিয়ে চলেছেন। তিনি ৩ কন্যা সন্তানের জনক। বড় মেয়ে নড়াইল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী, মেঝ মেয়ে আলকুবা হিফজুল কুরআন একাডেমির নার্সারির ছাত্রী ও ছোট মেয়ের বয়স মাত্র ২ বছর ৬ মাস।
শিক্ষা ও কর্মজীবন: বাড়ি থেকে ২ কিলোমিটার দূরে সিংগিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে সিংগিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৬ সালে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। নড়াইল শহরের মহিষখোলায় নিজেদের বাড়িতে থেকে নড়াইল সিটি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে খুলনার সরকারি বি এল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তি হয়ে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেন। পরবর্তীতে ঢাকার ধানমন্ডি সেন্ট্রাল ল' কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবনে তিনি একজন ব্যবসায়ী ও সফল উদ্যোক্তা।
রাজনৈতিক জীবন: জনাব আতাউর রহমান বাচ্চুর জন্মই একটি রাজনৈতিক পরিবারে। পিতা মরহুম আবুল কাশেম মোল্লা চরমোনাইয়ের মরহুম পীর সাহেব হুজুর সৈয়দ ফজলুল করিম ফজলুল করিম সাহেবের মুরিদ ছিলেন ও নড়াইল জেলা মুজাহিদ কমিটির প্রতিষ্ঠাকালীন দায়িত্বশীল ছিলেন। বড় ভাই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে নেতৃত্ব পর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। মেঝ ভাই অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান জেলা বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। সেঝ ভাই বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বর্তমানে উপরোক্ত সকল ভাইয়েরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ৪র্থ ভাই মুফতি শফিউর রহমান চরমোনাই পীর সাহেব হুজুরের মুরিদ ও ইসলামী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী, ৫ম ভাই অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান ছাত্রশিবিরের খুলনা মহানগর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন এবং বর্তমান খুলনা মহানগর জামায়াতের আমীর ও খুলনা ৩ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী। ৬ষ্ঠ ভাই জনাব শামসুর রহমান ছাত্রশিবিরের খুলনা মহানগর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন এবং বর্তমান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারির দায়িত্বে আছেন।
জনাব আতাউর রহমান বাচ্চুর ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী হওয়ার মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতির হাতেখড়ি। পরবর্তীতে ছাত্রশিবিরের নড়াইল সদর পৌরসভার সভাপতি ও নড়াইল জেলা সেক্রেটারি হিসেবে ১ বছর দায়িত্ব পালন করেন। উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে খুলনায় যাওয়ার পর সেখানে খুলনা বি এল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও মহানগর শিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পালন শেষে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালে ১ ফেব্রুয়ারিতে জাম জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করে পরবর্তীতে ১ বছর সদর উপজেলার আমীরের দায়িত্ব ও ২০১৪ সালের ২১ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলা সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অদ্যবধি নড়াইল জেলা আমীরের দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পালন করে যাচ্ছেন।
হামলা-মামলা ও কারা জীবন: এসএসসি পাসের পর থেকেই তার জীবনে রাজনৈতিক হামলা ও মামলার যাত্রা শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় চুড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয় ২০০৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত। বিগত সময়ে ঢাকা, খульনা ও নড়াইল জেলায় তাকে প্রায় অর্ধশত মামলায় আসামী করা হয়। এ পর্যন্ত ৩ বার কারাবরণ করেন ও অসংখ্য বার পুলিশি নির্যাতনের শীকার হন।
সামাজিক কর্মকাণ্ড: ছোট বেলা থেকেই পারিবারিক ঐতিহ্যের আলোকে সমাজের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মুক্তির জন্য বন্ধুদের নিয়ে এলাকায় সেবামূলক কাজে নিয়োজিত থাকতেন। খুলনায় ছাত্র জীবনে সিডর ও আইলায় ক্ষতিগ্রস্থ সুন্দরবন উপবৃ উপকূলের মানুষের মাঝে ব্যাপক রিলিফ ওয়ার্ক পরিচালনা করেন। বিগত একযুগ নড়াইল জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিপদ-আপদের শিকার মানুষের কাছে তিনি হামলা-মামলা, পুলিশি হয়রানি ও গ্রেফতারকে তোয়াক্কা না করে ছুটে যেয়ে সাধ্যমত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
বিগত ১ বছর তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা-ঘাট, মসজিদ-মন্দির, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, খেলার মাঠ, ট্রাস্ট, ফাউন্ডেশন, নদী ভাঙ্গন রোধ ও বিভিন্ন সমিতির উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।